হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতায় শিক্ষকের মারপিটে স্কুলের ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৬ জুলাই) বিকালে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম হোসেন বলেন স্বুলের নিয়ম ভেঙ্গে জন্মদিন পালন ও টিকটকে ব্যস্ত থাকার অভিযোগে বকাঝকা করায় অভিমানে সে আত্মহত্যা করতে পারে। মারা যাওয়া স্কুলছাত্র রাজ প্রতাপ (১৫) উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের হিজলা চন্ডিপুর গ্রামের দ্বীনবন্ধু দাস এর পুত্র এবং নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা স্কুল এবং শিক্ষকদের মটর সাইকেল ভাংচুর করে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয়রা জানান, রাজ প্রতাপ স্কুলের নিয়ম ভেঙে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অবকাশ সরকার, শিক্ষক শিদ্ধার্থসহ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ডেকে নিয়ে মারপিট করে। এতে প্রতাপ বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে অভিমান করে সে বিষপান আরও অসুস্থ্য হয়ে বলে গুজব ছড়ানো হয়। লাশ বেলা আড়াইটার দিকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে মিছিল সহকারে স্কুলে নিয়ে আসে বিক্ষুব্ধরা। এখবরে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে জনরোষে পড়ে শিক্ষক সহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ভাংচুর করতে থাকে স্কুলের দরজা, জানালার গ্লাস ও মটর সাইকেল। পরিবেশ শান্ত করতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিশেষ ভুমিকা পালন করে। সন্ধ্যা অবধি উত্তাল ছিলো পবিত্র নলতা শরীফ এলাকা। এসময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান প্রমুখ উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমান বলেন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নলতা হাইস্কুলে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পাঁচজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে। যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।