কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কলিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে জেসমিন সুলতানা (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। জেসমিন নলতা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সবার অলক্ষ্যে রাতে কোন এক সময়ে নিজ ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। জেসমিনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার মেয়ে জেসমিন সুলতানা নলতা কলেজে পড়াশুনা করে। তার একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলমান। গতকাল রবিবার আইসিটি পরীক্ষা দিয়ে এসে কিছুটা মন খারাপ দেখতে পেয়েছি। রাতে আমি তাকে বুঝাই। রাত ১২টা পর্যন্ত পড়াশুনা করে ছোট দু’ভাই- বোনকে নিয়ে শুয়ে পড়ে তার নিজ ঘরে। ভোরে ফজরের আযান দিলে আমি তাকে নামাজের জন্য ডাক দেই কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে দেখি আমার মেয়ে আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, বেশ কয়েক বছর আগে জেসমিন সুলতানার পিতা-মাতা তাকে শ্যামনগরে বিয়ে দেন। অল্প কিছুদিন পরেই, তার ডিভোর্স হয়ে যায়। বাড়িতে ফিরে পুনরায় পড়াশুনা শুরু করে। এখন জেসমিন সুলতানার একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। আজও তার কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা ছিলো। এঘটনা জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, আত্মহত্যার সংবাদে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।