হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়। এখানে কাটানো দুইবছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি একদিনে হইনি, এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা-মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে বসে থাকা, বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা ছিল জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময়গুলো এখানে কাটিয়েছি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হাদীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ। সরকারি কলেজে যাওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।