সাতক্ষীরার সংবাদ

আবাসিক হোটেলে নারীসহ আটক টেমি হাফিজকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে

  প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ২:২৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আবাসিক হোটেলে নারীসহ আটক কালিগঞ্জের বহুল বিতর্কিত টেমি হাফিজকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সদর থানায় পৃথক দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরার বৈশাখী আবাসিক হোটেল থেকে অবৈধ মেলামেশায় দায়ে কালিগঞ্জের কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী টেমি হাফিজকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টায়। সাতক্ষীরা সদর থানার ডিউটি অফিসার এস আই হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিউটি অফিসার এস আই হাসান এ প্রতিনিধিকে বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় হোটেল থেকে দুই জনকে থানায় আনা হয়। তাদেরকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ।

লম্পট হাফিজ কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের মশরকাটি গ্রামের মৃত এলাইবকস’র কুলাঙ্গার ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। বর্তমানে বাজারগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সে তার অন্যতম সহযোগী চাঁদাবাজ হাবিবুল্লাহ বাহারকে সাথে নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ, আমের আড়ৎ, বালু ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজি করে থাকে। এসব ব্যবসায়ীদের নানান রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজি ও থানায় দালালীসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী হোটেলে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে রাতযাপন করছে একজন এ সংবাদে স্থানীয় জনতা পুলিশে খবর দিলে আপত্তিকর অবস্থায় উভয়কে আটক করে পুলিশ। এসময়ে বেরসিক জনতা উলঙ্গ টেমি হাফিজকে ক্যামেরাবন্দী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়। বৈশাখী হোটেলে নারীসহ সাংবাদিক পরিচয় দানকারী টেমি হাফিজ আটকের বিষয়টি টক অপদা সাতক্ষীরায় পরিণত হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, থানা হেফাজত থেকে দেনদরবারের মাধ্যমে মুক্ত করতে তার অন্যতম সহযোগী চাঁদাবাজ রঘুনাথ খাঁ, চাঁদাবাজ হাবিবুল্লাহ বাহারসহ একটি চক্র রাতভর অপতৎপরতা চালায়। এই চক্রটির সারাদিনের কাজ হচ্ছে থানার সামনে বসে থেকে পাটি যোগাড় করে বিভিন্ন ছলে চাঁদাবাজি করা। আর এলাকার সন্মানি মানুষের সম্মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে সমাজে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

এর আগে কালিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা মোড়ে ২০০৪ সালের জুনে ভাড়া বাসা থেকে এক মেয়ের সাথে রাতযাপনকালে এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে বেঁধে রাখে। উপজেলা আ’লীগ নেতার হস্তক্ষেপে সামান্য উত্তম মাধ্যমের মধ্যদিয়ে সেবার মুক্তি পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন বেরসিক এলাকাবাসী।

এই টেমি হাফিজের বিবাহযোগ্য একমাত্র মেয়ে ও বিবাহযোগ্য একমাত্র ছেলে আর ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকলেও ৫৪ বছর বয়সেও থেমে নেই লাম্পট্য।

এ ঘটনায় কালিগঞ্জের বহুল বিতর্কিত টেমি হাফিজের বিরুদ্ধে সদর থানায় ধর্ষন, চাঁদাবাজিসহ একাধীক ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। সদর থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে বেলা ১২ টায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

আরও খবর

Sponsered content