খেলা ডেক্স : ক্রিস ওকসের পঞ্চম বলে লিডিং এজে সিঙ্গেল নিলেন স্টিভ স্মিথ, উল্লাস করে উঠলেন ক্যানবেরার দর্শকেরা। ম্যাচের তখন যা পরিস্থিতি, তখন তো ওই সিঙ্গেলই বড় ব্যাপার! ক্রিস ওকসের প্রথম দুই বলেই ফিরে গেছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও মিচেল মার্শ, হ্যাটট্রিক আটকানোর পর পঞ্চম বলে গিয়ে স্মিথের ওই সিঙ্গেল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি নেমে এসেছিল ১২ ওভারে, অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ১১৩ রান। আরেক দফা বৃষ্টি নামার সময় ৩.৫ ওভারে ৩০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। তবে এরপর আর খেলা শুরু হয়নি। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড।
বৃষ্টির কারণে খেলাই শুরু হয়েছিল দেরিতে, একসময় সেটি নেমে আসে ১৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারেই হারায় অ্যালেক্স হেলসকে, জশ হ্যাজলউডের বলে টেস্ট ম্যাচ স্টাইলে স্লিপে ধরা পড়েন হেলস। তিনে নামা ডেভিড ম্যালানের সঙ্গে এরপর ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ করছিলেন জস বাটলার। দুজনের জুটিতে ওঠে ৫৬ রান।
প্যাট কামিন্সের কাটারে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ম্যালান, ১৯ বলে ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটি বড় হওয়ার আগেই আবার নামে বৃষ্টি। প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় খেলা। বিরতির পর প্রথম বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে পুল করে ছয় মারেন স্টোকস।
এরপর হ্যাজলউডের ওপর চড়াও হন বাটলার, ১১তম ওভারে ওঠে ২২ রান। টানা তিন চার মারার পথে ৩৫ বলেই ফিফটি পূর্ণ হয় ইংল্যান্ড অধিনায়কের। বিরতির পর ১৪ বলে ইংল্যান্ড যোগ করে ৩৯ রান। ৪১ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার, স্টোকস অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৭ রান করে। দলে ফেরার পর এই প্রথম স্টোকসের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, ছন্দ ফিরে পেয়েছেন তিনি।
১২ ওভারে ১১৩ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে। স্টিভ স্মিথ ওপেন করবেন, শুরুতে এমন ভাবা হলেও ফিঞ্চের সঙ্গে আসেন ম্যাক্সওয়েল। তবে প্রথম ওভারের শেষ বলে যতক্ষণে স্ট্রাইক পান ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট! ওকসের প্রথম বলটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ফিঞ্চ। ঠিক পরের বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ। স্মিথ নামার পর মনে হচ্ছিল, যেন টেস্টে নতুন বলে সকালের সেশনের কোনো ওভার হচ্ছে! দারুণ এক আউট সুইংয়ে পরাস্তও হন স্মিথ।
পরের ওভারে রিস টপলিকে একটি ছয় মারেন ম্যাক্সওয়েল, তবে ওকসের পরের ওভারে ফিরতে হয় তাঁকে। ধীরগতির বলে মিড-অফে ক্যাচ তোলেন তিনি। শেষ আরেকবার বৃষ্টি নামার আগে অবশ্য পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ডেভিড উইলির ৪ বলে উঠেছিল ১১ রান। তবে অস্ট্রেলিয়ার তখনো প্রয়োজন ছিল ৪৯ বলে ৮৩ রান।