হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মাহমুদীয়া দাখিল মাদ্রাসায় জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান। ৪৬ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি মাদ্রাসার। সরকার বাহাদুর ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি দাবী অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন মহলের।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর-২৩) সরজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষকবৃন্দ জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ১৯৭৭ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হলেও ভবনের অভাবে পাঠদানে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বেঞ্চের অভাবে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে ক্লাস করছে। মাদ্রাসাটির নেই কোন কমন রুম, নেই স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ও খেলার মাঠ। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে শুরু করে সুন্দর পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনমতে কক্ষ করে পাঠদান করছে শিক্ষকরা। সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী মুক্তাসহ একাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিনিধিকে বলেন আমরা জরাজীর্ণ ও স্যাতস্যতে ভবনে ঝুঁকির ভিতরে ক্লাস করছি। ছেড়া ফাঁটা টিনের ছাউনির কারনে একটু বৃষ্টি হলেই মাদ্রাসার ফ্লোরে পানি জমে যায়,নষ্ট হয় বই ও খাতাসহ পোশাক। এ যেনো দেখার কেউ নেই। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আজিজুল হক বলেন, মাদ্রাসা ভবনের অভাবে আমরা ঝুঁকির ভিতরে ক্লাস নিচ্ছি। বর্তমানে মাদ্রাসায় দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত। প্রয়োজনের তুলনায় নেই যথাযথ বিল্ডিং ও আসবাবপত্র, মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়সহ কয়েক যায়গায় মাদ্রাসার নতুন ভবন ও আসবাবপত্রের জন্য আবেদন করেছি। ৬০ শতক জমির উপরে নির্মিত মাদ্রাসার উত্তরে সড়কের দিকে প্রাচীর ও গেটটি করেছিলেন প্রয়াত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশারাফ হোসেন। মাদ্রাসার হালচিত্রের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোস্তফা কবিরুজ্জামান মন্টু বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি ভবন জরুরিভাবে দরকার। ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছে। কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল মাদ্রাসায় নতুন ভবন হবে। জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে আমি দেখেছি, সেই মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি