বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার কমিটি গঠন সম্পন্ন সাতক্ষীরা কে আমরা একটি নতুন ও আদর্শ সাতক্ষীরা গড়ার স্বপ্ন দেখছি সাতক্ষীরা সাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির বর্ধিত সভায় ২৬ অক্টোবর খুলনা রোড মোড় মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে দৈনিক কালবেলা মহানবী (সা:) এর কটুক্তির প্রতিবাদে কালিগঞ্জে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ মন্দিরে রাজনীতির চর্চা কল্যাণ বয়ে আনে না : গয়েশ্বর গণঅভ্যুত্থানে আহত নবীন ও রাইসুরকে চিকিৎসা সহায়তা দিল বিএনপি দেবহাটা প্রেসক্লাবে সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি অনুষ্ঠান কালিগঞ্জের ছিনাইকারীর গুলিতে আহত ২ ব্যবসায়ী অস্ত্র গুলিসহ আটক ১

শ্যামনগরে স্বামীর দাফনে বিলম্ব হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি তিথিকে

শেখ আতিকুর রহমান, র্বাাতা সম্পাদক ২৪৯ টাইম ভিউ
আপডেটঃ সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪, ৬:৫৮ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমী থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তিথি খাতুন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্বামীর দাফন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে উপস্থিত হলে তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।রোববার (৩ মার্চ) শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। যদিও কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের দাবি শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রকের অনুমতি না মেলায় হতভাগা পরীক্ষার্থীর জন্য তারা কিছু করতে পারেনি। শ্যামনগর পৌরসভার মাজাট গ্রামের আরশাদ আালী বাবুর মেয়ে তিথি বাড়ির পার্শ্ববর্তী জোবেদা সোহরাব একাডেমীতে লেখাপড়া করতেন। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী তিথি খাতুন জানান, প্রায় আট মাস আগে খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র দেবহাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। আগের পরীক্ষাগুলো ভাল হয়েছে-উল্লেখ করে সে জানায় শনিবার রাতে এক বন্ধুকে রক্ত দিতে বের হয়ে দেবহাটার কুলিয়া এলাকা ট্রাকের সাথে দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর সকাল দশটায় নিহত স্বামীর জানাযার সিদ্ধান্ত হয়। এক পর্যায়ে জানাযা শেষে মাটি দিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে দ্রুত বেগে একটি বাইকযোগে শ্যামনগরের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। এসময় স্বামীর মৃত্যু ও দাফনের যাবতীয় বিষয়াবলী প্রমাণসহ জানানোর পরও তার কোন কথা না শুনে বরং পরীক্ষা কক্ষে ঢুকতে বাঁধা দেন। তিথির প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, মেয়েটি মেধাবি বলে আমি নিজেও অনুরোধ করেছিলাম, তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসিয়ে নতুন ভাবে ওএমআর সরবরাহসহ অন্যান্য প্রশ্নপ্রত্র দিয়ে সময় কমিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। এতে করে সদ্য স্বামী হারানো এ কিশোরীর জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়লো। বিষয়টি ঘিরে উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে


এই বিভাগের আরো খবর