স্টাফ রিপোটার্স।সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বংশিপুর সোনার মোড়ে আশা (ব্রিকস) ইটভাটার মধ্যে চিকিৎসার নামে অপ-চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল খালেক নামে এক ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৮শে মার্চ) সকাল ১০টায় সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আব্দুল খালেক একজন অবৈধ ইটভাটার বেতনধারী ম্যানেজার, তিনিই আবার ডাক্তার। চিকিৎসা দিচ্ছেন প্যারালাইসিস, যৌন,গর্ভবতী,জটিল ও কঠিন রোগের রোগীদের। তবে নামের আগে ডাক্তার লিখতে গেলে যে শিক্ষা যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট লাগে সেসব নিয়ম তিনি পরোয়া করেন না। তিনি সার্টিফিকেট ধারী কোন ডাক্তার নন তারপরও রাতারাতি বনে গেছেন নামিদামি ডাক্তার। একটি সূত্র বলছে, ইটভাটা টি নির্জন এলাকায় হওয়ায় গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে ওই ইটভাটায় এনে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে হাতিয়ে নেই। এছাড়াও যেসব নারী রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে তাদেরকে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন সময় অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রশাসন বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তিনি শহরে ডাক্তার-খানা না করে আশা ইটভাটার মধ্যেই এই চিকিৎসার নামে অনৈতিক কারবার চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার এই অপ-চিকিৎসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ডাক্তার আব্দুল খালেকের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মানুষের চিকিৎসা দিতে গেলে শিক্ষা যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট লাগে না, অভিজ্ঞতা থাকলে ডাক্তারী করা যায়। এবং তার বিষয়ে যেসব অভিযোগ সেগুলো তিনি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তিনি সাংবাদিকদের বলেন”বিষয়টি আমার জানা নেই,তবে আপনার মাধ্যমে জানলাম,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।